মো. বাবু চৌধুরী | ওমান | এবিএন নিউজ

ওমানে ভয়াবহ বন্যায় একই পরিবারের ১০জন সহ মৃতের সংখ্যা ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে আরও কয়েকজন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারি বৃষ্টিপাতে প্রধান মহাসড়কের কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। দুবাইয়ে কিছু কিছু জায়গায় নিরাপত্তার কারণে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ওমানে মঙ্গলবার বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া একই পরিবারের নয় স্কুলছাত্রী এবং তাদের গাড়ির চালককে চাচা’কে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাণ হারিয়েছেন আরো ৮ জন। ন্যাশনাল কমিটি ফর ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, বন্যার পানির তোরে ভেসে যাওয়া কয়েকজনকে খুঁজে বেরাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।

ওমান সরকার এর আগে বেশ কয়েকটি প্রদেশের খারাপ আবহাওয়ার কারণে সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে। বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যেতেও নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বন্যাকবলিত এলাকা থেকে নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর প্রদেশের আশ শারকিয়াহ অঞ্চলে পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

এছাড়া ওমানের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ঝড়ো হওয়া সহ বজ্রপাত হচ্ছে। সাংবাদটি লেখার আগ-মুহুর্ত পর্যাপ্ত ওমানের- মাসকাট, বারকা, মোহছানা, সুয়েক, বেদায়া, কাপুরা, সাহাম, শূর, ভোরমি, শাইনাজ, ওয়াদী আল জিজি, ইব্ররী সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অতিবৃষ্টির কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ভারী বৃষ্টিপাতে প্রধান মহাসড়কের কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে।

প্রচণ্ড বাতাসের কারণে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।

মঙ্গলবার ভোর ৪:৫ মিনিট শুরু হওয়া বৃষ্টিতে সকাল সাতটা সময়ে দুবাইয়ে ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদিন ধরে ১২৮ মি.মি. (৫ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও বাহরাইন, কাতার ও সৌদি আরবেও বৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া, এশিয়ার দেশ পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েকদিন ধরে চলা ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছে । নিহতদের মধ্যে কয়েকজন কৃষক গম কাটার সময় বজ্রপাতের শিকার হন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।