নিজস্ব সংবাদদাতা | হাতীবান্ধা লালমনিরহাট | এবিএন নিউজ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানায় গ্রেপ্তারকৃত মাদক কারবারির ছবি ও ভিডিও করায় সাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এএসআই মোর্শেদুলের বিরুদ্ধে। এমনকি এ সময় ওই সাংবাদিককে অকাট্য ভাষায় গালিগালাজসহ লাঞ্চিত করা হয়। বুধবার দুপুর ১টার দিকে হাতীবান্ধা থানার মধ্যেই ঘটনাটি ঘটে।
এঘটনার প্রতিবাদে বুধবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার এসএস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকরা।

অভিযুক্ত মোর্শেদুল হাতীবান্ধা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক। ভুক্তভোগি সাংবাদিক হলেন, দৈনিক ডেল্টা টাইমস এর হাতীবান্ধা প্রতিনিধি মাজারুল ইসলাম রিফাত।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের টেকনিক্যাল কলেজ এলাকা থেকে আনোয়ারা বেগম নামের এক নারী মাদককারবারিকে ৭ বোতল ফেনিসিডিলসহ আটক করে পুলিশ।

পরে তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে থানায় একটি মামলা দায়েরের পর বুধবার দুপুরে লালমনিরহাট আদালতে নেয়ার জন্য থানা থেকে বের করে গাড়িতে তোলার সময় ছবি ও ভিডিও নিচ্ছিলেন সাংবাদিক রিফাত। এ সময় ওই পুলিশ সদস্য তেড়ে এসে তার ক্যামেরা কেড়ে নেন এবং ওই সাংবাদিককে অকাট্য ভাষায় গালিগালাজসহ লাঞ্চিত করেন।

এদিকে এমন খবরে ক্ষোভে উপজেলার কর্মরত সাংবাদিক তাৎক্ষনিক ওই পুলিশ সদস্যের বিচার ও প্রত্যাহারের দাবিতে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন।

পরে হাতীবান্ধা থানা থেকে পুলিশ কর্মকর্তারা এসে সাংবাদিক নেতাদের সাথে কথা বলে ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিলে সাংবাদিকরা বিক্ষোভ থেকে সরে যান।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাজারুল ইসলাম রিফাত বলেন, হাতীবান্ধা থানা থেকে একজন নারী মাদক কারবারিকে আদালতের পাঠানোর চিত্র ধারণ করতে গেলে ওই পুলিশের এএসআই এসে বাধাঁ দেয়। পরে ক্যামেরা কেড়ে নেয়। এরপর আমাকে অকাট্য অকাট্য ভাষায় গালিগালাজ করে থানার ভিতরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল হক বলেন, সাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নেয়ার অধিকার পুলিশ রাখে না। আমরা সাংবাদিকরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এছাড়া জেলা পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করে প্রত্যাহারের দাবি করছি।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি তদন্ত নির্মল চন্দ্র মোহন্ত বলেন, ওসি স্যার সহ অফিসিয়াল কাজে বাইরে ছিলাম। পরে বিষয়টি শুনেছি, এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ওই পুলিশের এএসআই’র বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।