এবিএন নিউজ

আন্তর্জাতিক বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল স্বর্ণের দাম। একপর্যায়ে প্রতি আউন্সের দর উঠেছিল ২৩৭৭ ডলারে। বিশ্ব ইতিহাসে যা ছিল সর্বকালের সর্বোচ্চ। তবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) হঠাৎ করে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির বড় দরপতন ঘটেছে। স্বর্ণের বিশেষায়িত ওয়েবসাইট গোল্ড_প্রাইসে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

এতে দেখা যায়, শনিবার (১৩ এপ্রিল) স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের মূল্য হ্রাস পেয়েছে প্রায় ৩২ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩৫১০ টাকা। আউন্সপ্রতি দাম স্থির হয়েছে ২৩৪৪ ডলারে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদায়ী মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ফলে শিগগিরই সুদের হার কমাবে না দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এমন সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান ব্যাপক বেড়েছে। সেই সঙ্গে ইউএস ট্রেজারি ইল্ড ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ফলে স্বর্ণের দরে পতন ঘটেছে।

ইতোমধ্যে অন্যান্য প্রধান ৬ মুদ্রার বিপরীতে ডলার সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। বর্তমানে তা ১০৬ দশমিক শূন্য পয়েন্টে অবস্থান করছে। বিগত ৫ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।

রয়টার্সের বরাতে বিজনেস রেকর্ডারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ধারণা করা হয়েছিল, আগামী জুনে সুদের হার হ্রাস করবে ফেড। কিন্তু গত মাসে মার্কিন মুলুকে মূল্যস্ফীতি চড়া থাকায় সেই প্রত্যাশা প্রায় উবে গেছে। ওই মাসে এই সম্ভাবনা রয়েছে মাত্র ২৪ শতাংশ।

এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ৬৬ শতাংশ। পরিপ্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছে, সেটা কমাতে আরও দেরি করবে তারা। তাতে চাপে পড়েছে বুলিয়ন বাজার। সঙ্গত কারণে স্বর্ণের দাম কমেছে।

প্রত্যাশা করা হয়েছিল, আগামী জুন থেকে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত তিনবার সুদের হার কমাবে ফেড। কিন্তু এখন সেই সম্ভাবনা রয়েছে মাত্র দুইবার। সেটাও আদৌ বাস্তবায়িত হয় কিনা, তা নিয়ে দোটানা সৃষ্টি হয়েছে।